বিচ্ছেদের যন্ত্রণা, মদে আসক্তি আর বন্ধুদের সাহচর্য: ‘সিতারে জমিন পর’-এর সাফল্যের মাঝে আমির খানের খোলামেলা স্বীকারোক্তি

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’ ইতোমধ্যেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই এই ছবি ভেঙে দিয়েছে বহু পুরনো রেকর্ড। তবে এবার আমির শিরোনামে এলেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অকপট স্বীকারোক্তির কারণে।



সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির কথা বলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়কার মানসিক টানাপড়েন নিয়ে। তিনি বলেন, সেই সময়টা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার সময়গুলোর একটি। রীনা যখন তাঁর জীবনের ছায়া হয়ে থাকা অবস্থান থেকে সরে গেলেন, একাকিত্ব আর শূন্যতা যেন তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। কী করবেন, কোথায় যাবেন—তা বোঝার আগেই নিজেকে তিনি হারিয়ে ফেলেন মদের নেশায়।

আমির বলেন, “একদিন রাতে বাড়িতে একা ছিলাম। মন এতটাই অস্থির ছিল যে হঠাৎ করেই একটা বোতল খুলে ফেলি। সেদিনের পর প্রায় দেড় বছর প্রতিরাতেই আমি মদ খেতাম। ঘুমোতে যেতাম না, বরং অজ্ঞান হয়ে যেতাম।”

তবে এমন কঠিন সময়ে কিছু পুরনো বন্ধু এসে পাশে দাঁড়ান। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন জুহি চাওলা, যার সঙ্গে প্রায় সাত বছর কোনো কথা হয়নি আমিরের। হঠাৎ একদিন জুহির ফোন—“আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে চাই।” আমির জানালেন, “সে এসে শুধু বলল, কী হয়েছে জানি না, শুনতেও চাই না। কিন্তু প্লিজ, রীনার সঙ্গে আবার মিটমাট করো।”

এই সময় আরেকজন বড় ভরসা ছিলেন সালমান খান। আমির জানান, “আমি তখন কারো সঙ্গে দেখা করতাম না। কিন্তু সালমান ডিনারের দাওয়াত নিয়ে আসত, বসে বসে কথা বলত। অনেক গভীর কথা। সম্ভবত সেই সময় থেকেই আমাদের বন্ধুত্বটা সত্যিকার অর্থে গড়ে উঠেছিল।”

সত্যি বলতে কী, একজন তারকা হলেও আমির খানের যাত্রাটা নিখুঁত ছিল না। ভুল করেছেন, ব্যথা পেয়েছেন, এবং ধীরে ধীরে নিজের পথ খুঁজে নিয়েছেন। আর এই পুরো অভিজ্ঞতা যেন তাঁর আজকের মানুষ হয়ে ওঠার অংশ।

Previous Post Next Post