২০১৯ সালে অ্যাশেজ দিয়ে শুরু হয়েছিল ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি)। তারপর থেকে যতগুলো টেস্ট ম্যাচ হয়েছে, তার পরিসংখ্যানগুলো একটু ভালো করে দেখলেই একটা ব্যাপার চোখে পড়ে দ্রুততম এবং ধারাবাহিক পাঁচ উইকেট নেওয়ার দিক থেকে জসপ্রিত বুমরাহ এখন একেবারে আলাদা ক্লাসে। এমন নয় যে, তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের দাপট নেই, কিন্তু এক নম্বর জায়গায় রয়েছেন ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’ বুমরাহ।
মাত্র ৬৮টি ইনিংসে ১১ বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। ভাবা যায়? এই রেকর্ডই বলে দেয়, কেন তাঁকে এই সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর ফাস্ট বোলার বলা হয়। এমন ধারাবাহিকতা আর বৈচিত্র্য খুব কম পেসারের মধ্যে দেখা যায়।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। ৯২ ইনিংসে ১০ বার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি রয়েছে তাঁর। যদিও বুমরাহর থেকে ইনিংস অনেক বেশি খেলেও, সংখ্যাটা পিছিয়ে আছে।
তৃতীয় নম্বরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কগিসো রাবাডা। ৬১ ইনিংসে ৮ বার ‘ফাইফার’। এমন একজন বোলার, যাঁর দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে যেতে পারে তবে বুমরাহর মতো ধারাবাহিকতা রাবাডার খেলার ধরনে কিছুটা কম চোখে পড়ে।
চতুর্থ স্থানে আছেন অস্ট্রেলিয়ারই জশ হ্যাজেলউড। ৭ বার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট। তিনি বরাবরই নিখুঁত লাইনের জন্য পরিচিত, তবে এতোটা সাফল্য তাঁকে বুমরাহর কাতারে পৌঁছে দেয়নি।
আর তালিকার পঞ্চম নাম নিউজিল্যান্ডের টিম সাউথি। যিনি ডব্লিউটিসি চলাকালীন সময়ে ৬ বার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট বা তার বেশি। তবে একটা ব্যাপার আলাদা করে বলতেই হয়, তিনি এই তালিকার একমাত্র পেসার যিনি ইতিমধ্যে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন।
এই পাঁচজনের মধ্যে যেভাবে বুমরাহ এগিয়ে রয়েছেন, সেটা নিছক পরিসংখ্যান নয়, একরকম বার্তাও। এই মুহূর্তে, হয়তো তিনিই সেই বোলার, যাঁকে ব্যাটসম্যানরা সবচেয়ে বেশি এড়িয়ে চলতে চান।