প্রয়াত ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পটৌদির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক উইকেটকিপার ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের ট্রফির নাম বদলে ফেলা নিয়ে। ২০০৭ সালে যেটা ‘পটৌদি ট্রফি’ নামে শুরু হয়েছিল, সেই ট্রফির নাম এবার বদলে রাখা হয়েছে ‘টেন্ডুলকর-অ্যান্ডারসন ট্রফি’। এই পরিবর্তন অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেননি, যার মধ্যে রয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরও।
ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের মতে, এই নাম পরিবর্তন কিছুটা অন্যায়। ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “টাইগার পটৌদি আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, সহ-অভিনেতাও বলতে পারেন। আমরা বহু টেস্ট একসঙ্গে খেলেছি। ২০০৭ সালে যখন ট্রফির নাম ওনার নামে রাখা হয়, সেটা আমার কাছে ছিল এক বিশাল সম্মান।”
তবে ইঞ্জিনিয়ার এটাও স্বীকার করেছেন যে শচীন টেন্ডুলকর এবং জেমস অ্যান্ডারসনের কৃতিত্বও অস্বীকার করার কিছু নেই। "এই দুজন কিংবদন্তির নাম ট্রফির সঙ্গে জুড়লে আপত্তি করার উপায় নেই," তিনি বলেন। তবে পটৌদির নাম মুছে ফেলা অনেক ভক্তের মতো তাকেও কষ্ট দিয়েছে।
টেন্ডুলকর নিজে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ECB) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, যার ফলেই সিরিজ জয়ী দলের অধিনায়কের হাতে 'পটৌদি পদক' তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ইঞ্জিনিয়ার এই সিদ্ধান্তকে ‘সতর্ক ও বিবেচিত পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছেন, যদিও তার মতে, এই ঘোষণা সিরিজ শুরুর আগেই করা উচিত ছিল।
পটৌদি পরিবারের ইংল্যান্ড-ভারত ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক বহু পুরনো। ইফতিখার আলি খান পটৌদি ও তাঁর পুত্র মনসুর উভয়েই ভারতের অধিনায়ক ছিলেন, আবার দুজনেই ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন।
ইঞ্জিনিয়ার আশা প্রকাশ করেছেন, “শর্মিলা ঠাকুর ও সাইফ আলি খানকে যদি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়, তাহলে ব্যাপারটা আরও অর্থবহ হবে।”
ভারত বর্তমানে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে। জসপ্রীত বুমরাহের সীমিত অংশগ্রহণ নিয়েও ইঞ্জিনিয়ার চিন্তিত। ৮৭ বছর বয়সী এই প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, “ও আমাদের তুরুপের তাস। যত ম্যাচ খেলা সম্ভব, ওকে খেলাতেই হবে।”
ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার ১৯৬১ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৪৬টি টেস্ট ও ৫টি ওয়ানডে খেলেছেন। এখন, সময় বলবে, এই ঐতিহ্য ও সম্মানের ভার ভারসাম্য বজায় রাখতে বোর্ড কতটা সঠিক পথে হাঁটছে।