উত্তর প্রদেশে একটি বড়সড় অবকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে সিজল ইন্ডিয়া। অযোধ্যায় একটি নতুন বাইপাস সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে সংস্থার সহায়ক প্রতিষ্ঠান ‘সিজল নর্দান অযোধ্যা বাইপাস প্রাইভেট লিমিটেড’। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI) ইতিমধ্যেই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি প্রায় ১,১৯৯.৩০ কোটি টাকার, যেখানে ৩৫.৪০ কিমি দীর্ঘ চার বা ছয় লেনের বাইপাস তৈরি হবে।
এই খবর শেয়ার বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। মঙ্গলবার বিএসই-তে সিজল ইন্ডিয়ার শেয়ার দাম ₹১৭.৮০ বেড়ে ₹২৭১.৪৫-এ পৌঁছায়, যা ৭.০২% বৃদ্ধি। বাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এদিনও ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক সূচনার তারিখ ঠিক হয়েছে ৯ জুলাই, ২০২৫। স্টক এক্সচেঞ্জে দেওয়া এক বিবৃতিতে সিজল জানিয়েছে, ১ জুলাই NHAI থেকে তারা চিঠি পেয়েছে, যেখানে সেই দিনটিকেই ‘Appointed Date’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মানে, প্রকল্পের কাজ সেই দিন থেকেই শুরু ধরা হবে।
নতুন বাইপাসটি দুটি অংশে বিভক্ত। উত্তরের অংশটি NH-27 সড়কের উত্তর দিকে থাকবে, যা শুরু হবে কিমি ০+০০০ থেকে এবং শেষ হবে কিমি ৩০+৪০০-এ, বর্তমান NH-27-এর কিমি ১১২+৫৪০-এর কাছ থেকে শুরু হয়ে কিমি ১৩৯+৯২৮ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ অংশটি হবে NH-27-এর দক্ষিণে, মোট দৈর্ঘ্য ৫ কিমি।
এই প্রকল্পটি ‘হাইব্রিড অ্যান্যুইটি মডেল’ (HAM)-এর আওতায় বাস্তবায়িত হবে এবং এটি জাতীয় সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের (NHDP) সপ্তম পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
তবে এটিই সিজল ইন্ডিয়ার প্রথম বড় প্রকল্প নয়। এর আগে, চলতি বছরের মার্চে সংস্থাটি পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় ২৫.২৪ কিমি দীর্ঘ ছয় লেনের গ্রীনফিল্ড সাউদার্ন বাইপাস তৈরির বরাত পেয়েছিল। প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ ছিল ₹৮৬৪.৯৭ কোটি, তবে কাজটি তারা পেয়েছে ₹৯২৩ কোটিতে। এটি লুধিয়ানা-অজমের ইকোনমিক করিডরের অংশ এবং দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
সব মিলিয়ে, সিজল ইন্ডিয়ার জন্য এটি এক বড় সুযোগ। তবে এত বড় বাজেটের প্রকল্প সময়ে শেষ করা সে চ্যালেঞ্জও কম নয়। এখন দেখার, মাঠে নামার পর সংস্থাটি কতটা দ্রুত ও নিখুঁতভাবে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।