Gabriel India Share: গ্যাব্রিয়েল ইন্ডিয়া শেয়ারে হঠাৎ ২০% লাফ, কারণ কী?

১ জুলাই, মঙ্গলবার গ্যাব্রিয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের শেয়ারে হঠাৎই তুমুল চাঞ্চল্য দেখা দেয়। একদিনেই শেয়ারদর ২০ শতাংশ বেড়ে পৌঁছে যায় ৮৪২.৯০ টাকা পর্যন্ত, যা দিনের উচ্চতম স্তর। আগের দিন, সোমবার, শেয়ারটির দাম ছিল ৭০২.৪৫ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই, এমন উত্থানের পেছনে ছিল এক বড় কর্পোরেট পদক্ষেপের খবর।



সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা এঞ্চেমকো ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডকে এশিয়া ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডে বিলীন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই মিশ্রণের পর গ্যাব্রিয়েল ইন্ডিয়ার আওতায় থাকা অটোমোটিভ ভেঞ্চারগুলোরও পুনর্গঠন হবে। বলা যায়, গোটা পরিকল্পনাটি বেশ জটিল, তবে লক্ষ্য একটাই ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০,০০০ কোটি টাকার টার্নওভার ছোঁয়া।

এই স্ট্র্যাটেজির মধ্যে দিয়ে গ্যাব্রিয়েল এমন কিছু সংস্থার সম্ভাব্য অধিগ্রহণ বিবেচনা করছে, যেখানে সংস্থার প্রোমোটারদের অংশীদারিত্ব রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্রেক ফ্লুইড, রেডিয়েটর কুল্যান্ট, ডিজেল এক্সহস্ট ফ্লুইড এই ধরনের অটো পণ্যের ব্যবসা করা এঞ্চেমকোকে প্রথমে এআইপিএলে (এশিয়া ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড) মিশিয়ে দেওয়া হবে। পরে, এই পুরো ইউনিটটি যার মধ্যে থাকবে দানা আনন্দ, হেনকেল আনন্দ এবং এএসওয়াইএম-এর মতো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ গ্যাব্রিয়েল ইন্ডিয়াতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

তবে একটা জিনিস পরিষ্কার করে বলা হয়েছে এআইপিএলের কাছে থাকা অন্যান্য অটো নয় এমন ব্যবসাগুলি এই মিশ্রণের আওতায় আসবে না, সেগুলি আগের মতোই আলাদা থাকবে।

এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায়, গ্যাব্রিয়েল ইন্ডিয়া এআইপিএলের প্রোমোটারদের জন্য প্রতি ১,০০০ শেয়ারের বিনিময়ে ১,১৫৮টি শেয়ার ইস্যু করবে। আর পুরো চুক্তিটি ফাইন্যান্সিয়াল ইয়ার ২০২৫-এর EBITDA-র আট গুণ মূল্যায়নে নির্ধারিত হয়েছে।

সবকিছু যদি পরিকল্পনামাফিক চলে, এবং রেগুলেটরি ও স্টেকহোল্ডার অনুমোদন ঠিকমতো মেলে, তাহলে আগামী ১০ থেকে ১২ মাসের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া কার্যকর হয়ে যেতে পারে। তবে, বাস্তবায়নের আগে এখনও অনেক দফার ছাড়পত্র বাকি বোর্ড, এনসিএলটি, স্টক এক্সচেঞ্জ, এমনকি ঋণদাতাদেরও সম্মতি লাগবে।

এত কিছু মিলিয়ে দেখলে, বাজারের এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া আসা অস্বাভাবিক নয়। তবে শেষপর্যন্ত এই মুভ কতটা ফলপ্রসূ হবে, সেটা সময়ই বলবে।

Previous Post Next Post