নতুন বাজেটে ইনকাম ট্যাক্সে ছাড়ের পর এবার সাধারণ মানুষের জন্য আসতে চলেছে আরও এক স্বস্তির খবর। মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিতে জিএসটি কাঠামোতেও পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের খবর, ১২ শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব হয় একেবারে তুলে দেওয়া হতে পারে, নয়তো তার হার কমিয়ে ৫ শতাংশ স্ল্যাবে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে অনেক দরকারি এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্যের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে আছে টুথপেস্ট ও টুথ পাউডার, ছাতা, প্রেসার কুকার, সেলাই মেশিন, রান্নাঘরের কিছু বাসনপত্র, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, গিজার, কম ক্ষমতার ওয়াশিং মেশিন, সাইকেল, এক হাজার টাকার বেশি দামের রেডিমেড পোশাক, ৫০০-১০০০ টাকার মধ্যে থাকা জুতো, স্টেশনারি পণ্য, টিকাদান সামগ্রী, সিরামিক টাইলস এবং কিছু কৃষি যন্ত্রপাতি।
সরকার যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, তাহলে এই জিনিসগুলোর দাম আগের তুলনায় অনেকটাই সস্তা হয়ে পড়বে অন্তত সেটাই আশা করা হচ্ছে। তবে শুধু জিএসটি হারের পরিবর্তন নয়, পুরো সিস্টেমটাই আরও সহজ, কমপ্লায়েন্স-ফ্রেন্ডলি করার দিকেও নজর দিচ্ছে কেন্দ্র। এই বদল একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে, তেমনই ব্যবসায়ীরাও কম জটিলতায় কাজ করতে পারবেন।
তবে এই উদ্যোগের ফলে কেন্দ্রের ওপর পড়তে পারে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত চাপ। তা সত্ত্বেও, সরকারের ধারণা, দামে ছাড় দিলে বাজারে চাহিদা বাড়বে, এবং সেই সঙ্গে জিএসটি আদায়ও বাড়বে। সোজা কথায়, স্বল্প মেয়াদে কিছুটা চাপ এলেও, দীর্ঘমেয়াদে রাজস্ব বাড়ার আশা করছে কেন্দ্র।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন, জিএসটি কাঠামোকে আরও যুক্তিসম্মত করে তোলার কাজ চলছে এবং মধ্যবিত্তের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়ার দিকেই মনোযোগী হচ্ছে সরকার। এটা বাস্তবে হলে, নিঃসন্দেহে অনেকের জন্যই সেটা বড় স্বস্তির খবর হতে পারে।