১৫ হাজার টাকার নিচে বাজার কাঁপাচ্ছে Oppo K13x 5G, ডিজাইন থেকে ব্যাটারি, সবেতেই বাজিমাত!

সস্তার মধ্যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স? এই মুহূর্তে যাঁরা এমন ফোন খুঁজছেন, তাঁদের জন্য Oppo K13x 5G যেন একেবারে সোনায় সোহাগা। ১৫ হাজার টাকার কম দামের স্মার্টফোন ক্যাটেগরিতে এখন এই ফোনটি ফ্লিপকার্টে টপ রেটিং পাচ্ছে। এই তথ্য শেয়ার করেছে সংস্থাই। ব্যবহারকারীরা এই ফোনের টেকসই গঠন, লম্বা ব্যাটারি ব্যাকআপ, AI-চালিত ক্যামেরা এবং ঝকঝকে ডিজাইনের প্রতি বেশ খুশি বলেই জানাচ্ছে Oppo।



ফোনটির প্রারম্ভিক মূল্য শুরু হচ্ছে মাত্র ₹১১,৯৯৯ থেকে। এতে রয়েছে ৮জিবি পর্যন্ত RAM এবং ১২৮জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো ফোনটির ৩৬০-ডিগ্রি আর্মর বডি, যেটি ড্যামেজ-প্রুফ বলে দাবি করা হচ্ছে।

Oppo K13x 5G স্ক্রিন ও পারফরম্যান্স

Oppo K13x-এ রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির HD+ ডিসপ্লে, যার রেজোলিউশন 1604 x 720 পিক্সেল। স্ক্রিনটি ১২০Hz রিফ্রেশ রেট এবং ১০০০ নিটস পর্যন্ত পিক ব্রাইটনেস অফার করে, ফলে রোদে বা উজ্জ্বল আলোতেও স্ক্রিন দেখা বেশ আরামদায়ক। ডিসপ্লে সুরক্ষায় থাকছে Panda Glass।

পারফরম্যান্সের দিক থেকে ফোনটিতে রয়েছে MediaTek Dimensity 6300 প্রসেসর। RAM নিয়ে ভাবনার কিছু নেই ৮জিবি ফিজিক্যাল RAM-এর সঙ্গে অতিরিক্ত ৮জিবি পর্যন্ত ভার্চুয়াল RAM যোগ করে মোট ১৬জিবি পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব। ইন্টারনাল স্টোরেজ ২৫৬জিবি পর্যন্ত বাড়ানোর সুবিধাও থাকছে।

Oppo K13x 5G ক্যামেরা ও ব্যাটারি

ছবি তোলার জন্য ফোনটির পিছনে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেলের একটি পোর্ট্রেট লেন্স। সামনে ৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা দাম অনুযায়ী একেবারে ভালোই বলা যায়।

ব্যাটারি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই ৬০০০mAh ব্যাটারি থাকছে, সঙ্গে ৪৫W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। অর্থাৎ একবার চার্জ দিলে প্রায় সারাদিন নিশ্চিন্তে চালানো যাবে।

অন্যান্য দিকগুলোও নজরকাড়া

এই ফোন IP65 রেটিংসহ ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট। সফটওয়্যারের দিক থেকে এটি অ্যান্ড্রয়েড ১৫-ভিত্তিক ColorOS 15-এ চলে। সিকিউরিটির জন্য থাকছে সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।

দু’টি কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে Midnight Violet এবং Sunset Peach। কানেক্টিভিটির দিক থেকে থাকছে 5G, ডুয়াল 4G VoLTE, Wi-Fi (2.4GHz + 5GHz), Bluetooth 5.4, GPS এবং USB Type-C।

সব মিলিয়ে বলাই যায় কম বাজেটে এমন স্পেসিফিকেশন পাওয়া বেশ চমকপ্রদ। তবে, রিয়েল লাইফ পারফরম্যান্স কেমন হয়, তা সময়ই বলবে।

Previous Post Next Post