মঙ্গলবার সকালে ঘরোয়া শেয়ারবাজারের সূচক সেনসেক্স ও নিফটি মিলেমিশে কিছুটা নিস্তেজভাবে দিনের লেনদেন শুরু করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ? আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে মিশ্র সিগনাল।
একদিকে, সোমবার রাতে মার্কিন বাজারে চাঙ্গাভাব ছিল স্পষ্ট। S&P 500 এবং Nasdaq দুটিই ছুঁয়েছে নতুন রেকর্ড উচ্চতা। Dow Jones-ও প্রায় ০.৬৩ শতাংশ বেড়ে ৪৪,০৯৪.৭৭-এ বন্ধ হয়েছে। অন্যদিকে, এশিয়ার বাজারে সেই উচ্ছ্বাসের পুরো প্রতিফলন দেখা যায়নি। জাপানের Nikkei 225 এবং Topix উল্টোদিকে গেছে প্রায় ১ শতাংশ মতো নেমে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার Kospi এবং Kosdaq একটু ঘুরে দাঁড়ালেও, হংকংয়ের বাজার ছুটির কারণে বন্ধ ছিল।
সোমবার ভারতের বাজার অবশ্য একটু পিছু হটেছে। টানা চার দিনের লাভের পর সেনসেক্স প্রায় ৪৫২ পয়েন্ট হারিয়ে থেমেছে ৮৩,৬০৬-এ। নিফটি-ও ১২০ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছে, এখন রয়েছে ২৫,৫১৭-এ।
তবে সবকিছু মিলিয়ে আজকের সূচনার ইঙ্গিত খুব একটা নেতিবাচক নয়। গিফট নিফটি ট্রেড করেছে প্রায় ২৫,৬৩৫-এর কাছাকাছি, যা আগের দিনের নিফটি ফিউচারের তুলনায় সামান্য প্রিমিয়ামে। মানে, সূচনা কিছুটা হলেও সবুজে হতে পারে।
বড় ইস্যুগুলোর দিকে নজর:
-
ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি: হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। ট্রাম্প প্রশাসনের আগের ঘোষণা অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই কিছু ঘোষণা আসতে পারে।
-
ভারতের রাজকোষ ঘাটতি: এ বছর এপ্রিল-মে মাসে ভারতের রাজকোষীয় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩,১৬৩ কোটি টাকা যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ০.৮ শতাংশ। আগের বছর এই সময় তা ছিল ৫০,৬১৫ কোটি।
-
তেল ও সোনার দামের হাল: বাজারে মন্দার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের দাম কিছুটা পড়ে গিয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড এখন ৬৭.৬১ ডলার প্রতি ব্যারেল। তবে সোনার দামে উল্টো চিত্র হাজির সোনা বেড়ে ৩,৩১২.২৫ ডলারে পৌঁছেছে। ডলার দুর্বল হওয়াতেই এই ধাতুর দাম চড়েছে।
সব মিলিয়ে আজ বিনিয়োগকারীরা গ্লোবাল রিস্ক ফ্যাক্টর এবং ভারতীয় অর্থনীতির টেকনিক্যাল দিকগুলোকে মাথায় রেখেই পজিশন নিচ্ছেন। একদম নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন, তবে সূচনার ইঙ্গিত খুব একটা খারাপ নয় বলেই মনে হচ্ছে।