হায়দরাবাদের সংগারেড্ডির পাশামইয়ারাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজের ফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪-এ। সোমবার (৩০ জুন) সকালে, ঠিক ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণের পরপরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং রিঅ্যাক্টর ইউনিটের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে। অনেকেই গুরুতরভাবে দগ্ধ হন। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এই ঘটনায় সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো, এই দুর্ঘটনার প্রভাব শুধু কর্মীদের জীবনেই নয়, কোম্পানির অর্থনৈতিক ভিত্তিতেও বড় ধাক্কা দিয়েছে।
দুই দিনের ব্যবধানে শেয়ারের দাম একেবারে তলানিতে। যেখানে শেয়ারের দাম ছিল ৫৫.৯০ টাকা, তা নেমে এসেছে ৪৫.৩৬ টাকায়। এককথায়, বিনিয়োগকারীদের জন্য এটা এক বিরাট ধাক্কা। সোমবার একদিনেই শেয়ারের দাম ১১.৫ শতাংশ পড়ে যায়। মঙ্গলবারও চলাকালীন বাণিজ্যে শেয়ারের দাম আরও ৭ শতাংশ কমে যায়। গত আগস্টে এই শেয়ার যেখানে ৬৯.৭৫ টাকায় পৌঁছেছিল, এখন তা প্রায় ৩১ শতাংশ কমে গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এমন পতনের ইঙ্গিত ছিল না হঠাৎ এমন একটা ঘটনা শেয়ারবাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।
সিগাচির মূল উৎপাদন পণ্য হলো মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ (MCC)। তিনটি উৎপাদন ইউনিটের মধ্যে হায়দরাবাদ প্ল্যান্ট ছিল অন্যতম বড়, যার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৬,০০০ মেট্রিক টন। এখন বাধ্য হয়েই প্ল্যান্টটি অন্তত ৯০ দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই সময়ে গুজরাটের অন্য দুই প্ল্যান্টে উৎপাদন বাড়িয়ে ক্ষয়পূরণের চেষ্টা চলবে তবে তা কতটা সফল হবে, এখনই বলা কঠিন।
এই বিস্ফোরণ শুধু একটি কোম্পানির ক্ষতি নয়, এটি বহু কর্মজীবী পরিবার এবং শেয়ারবাজারে আস্থার ওপরও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে, আর বিনিয়োগকারীরা তাকিয়ে আছেন আরও কতটা ধাক্কা বাকি আছে দেখতে।