দ্বিতীয় টেস্ট জমে উঠেছে, ভারতের দৃষ্টি এখন ৫০০ রানের লক্ষ্য দেওয়ার দিকে

এজবাস্টনে চলতি ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট এখন একেবারে জমজমাট পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের লিড পৌঁছে গেছে ২৪৪ রানে। শুভমান গিলের দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ভারত তোলে ৫৮৭ রান। জবাবে ইংল্যান্ড ৪০৭ রানে গুটিয়ে যায়। তবে একসময় মনে হচ্ছিল আরও বিপদে পড়বে ইংল্যান্ড, যদি না হ্যারি ব্রুক আর জেমি স্মিথ মিলে ৩০৩ রানের লম্বা একটা জুটি গড়তেন।
প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানের বড় লিড পাওয়ার পর ভারত আবার ব্যাট করতে নামে, এবং দিন শেষ হওয়া পর্যন্ত ৬৪ রান তোলে ১ উইকেট হারিয়ে। এখন ভারতের মোট লিড দাঁড়িয়েছে ২৪৪ রানে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভারত আসলে কত রান টার্গেট দেবে ইংল্যান্ডকে?
প্রথম টেস্টের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই দল এখন একটু বেশি সতর্ক। লিডসের সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড অনায়াসে ৩৭১ রান তাড়া করে জিতে যায়। সেটা মাথায় রেখে শুভমান গিল-রোহিত শর্মারা নিশ্চয়ই চাইবেন না, ৪০০-এর নিচে কোনও লক্ষ্য ইংল্যান্ডকে দেওয়া হোক।
ভারতের কৌশল এখন খুব স্পষ্ট যতটা সম্ভব সময় ব্যাট করা, তাতে প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে চাপে রাখা। ম্যাচে এখনও ছয়টা সেশন বাকি। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইবে অন্তত আড়াই সেশন ব্যাট করে, আর চতুর্থ দিনের শেষ এক ঘণ্টার মতো সময়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে। যদি সবকিছু পরিকল্পনা মতো চলে, তাহলে ইংল্যান্ডকে প্রায় ৫০০ রানের টার্গেট দেওয়া ভারতের লক্ষ্য হতে পারে।
তবে এজবাস্টনের ইতিহাস বলছে, এই মাঠে বড় রান তাড়া করে জেতার ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সফল চেজ ২০২২ সালে, যেখানে ইংল্যান্ড ৩৭৮ রান তুলে ভারতকে হারিয়েছিল। কিন্তু ওই একটা ছাড়া ৩০০-এর ওপরে রান তাড়া করে জেতার নজির নেই এই মাঠে। এমনকি অস্ট্রেলিয়া বা ওয়েস্ট ইন্ডিজও এখানে মাঝারি রান চেজ করে জিতেছে, কিন্তু তেমন বড় কোনও রান নয়।
তাই ভারত এখন কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। অন্তত ২৫০ রান আরও যোগ করে, চতুর্থ দিনের শেষ দিকে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করাতে পারলে, চাপে ফেলা যাবে এটাই এখন ভারতের লক্ষ্য।
এজবাস্টনে সফল রান চেজের রেকর্ডগুলো এক ঝলকে:
-
ইংল্যান্ড – ৩৭৮/৩ বনাম ভারত (২০২২)
-
অস্ট্রেলিয়া – ২৮২/৮ বনাম ইংল্যান্ড (২০২৩)
-
ইংল্যান্ড – ২১১/৩ বনাম নিউজিল্যান্ড (১৯৯৯)
-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৫৭/৩ বনাম ইংল্যান্ড (১৯৯১)