শোয়েব বশির ছিটকে গেলেন সিরিজ থেকে, ইংল্যান্ড শিবিরে বড় ধাক্কা

লর্ডস টেস্টে ভারতকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও, ইংল্যান্ড শিবিরে এখন স্বস্তি নয়, বরং দুশ্চিন্তার মেঘ। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্পিনার শোয়েব বশির গোটা “তেন্ডুলকর-অ্যান্ডারসন সিরিজ” থেকে ছিটকে পড়েছেন চোটের কারণে। লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনে এক ড্রামাটিক মুহূর্তে বল হাতের আঙুলে আঘাত করে, আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। রিপোর্ট বলছে, চোটটা বেশ গুরুতর আঙুলে চিড় ধরেছে। তাই সিরিজের বাকি দুই টেস্টে মাঠে নামার আর সুযোগ থাকছে না তাঁর। সপ্তাহের শেষ দিকে তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা।

যেখানে সিরিজের রাশ এখন ইংল্যান্ডের হাতে, সেখানে বশিরের হঠাৎ ছিটকে যাওয়া দলের পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। কে হবেন তাঁর বিকল্প? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাথায়।

চোট পাওয়ার ঘটনাটা ঘটেছিল ভারতের প্রথম ইনিংসের ৭৮তম ওভারে, যখন রভীন্দ্র জাদেজার একটি বল ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বশিরের হাতে লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এরপর আর পুরো ইনিংসেই দেখা যায়নি তাঁকে। তবে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নামেন বশির, যদিও বেশি অবদান রাখতে পারেননি নয় বল খেলে মাত্র ২ রান করেন। ফিল্ডিংয়ের সময়ও বেশিরভাগটা দিন বাইরে ছিলেন। তবে দিনের একেবারে শেষদিকে, যখন ভারতের নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা ইংল্যান্ডের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিল, তখন আবার তাঁকে বল হাতে দেখা যায়। এবং সেখানেই শেষ মুহূর্তে মোহাম্মদ সিরাজের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন এই তরুণ স্পিনার।

এই সিরিজে বশির এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে ১০টি উইকেট নিয়েছেন, গড় ৫৪.১। যদিও সংখ্যাটা খুব আহামরি নয়, তবু স্পিন আক্রমণে তাঁর উপস্থিতি ইংল্যান্ডের জন্য ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে তিনিই হয়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডের প্রথম পছন্দের স্পিনার, সাসেক্সের জ্যাক লিচকেও টপকে গেছেন। এখন তাঁর অনুপস্থিতিতে লিচ দলে ফিরতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।

তবে লিচের পাশাপাশি দৌড়ে রয়েছেন আরও কয়েকজন যেমন রেহান আহমেদ, লিয়াম ডসন, আর টম হার্টলি। এখন ইংল্যান্ড কাকে সুযোগ দেবে, সেটা নির্ভর করছে দলের কৌশল আর পিচের চরিত্রের উপর।

ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ম্যানচেস্টারে। হাতে কিছুটা সময় থাকলেও, বশিরের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিটকে যাওয়া বেন স্টোকসের দলকে রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে এটা বলাই যায়।