দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনটা ভারতের জন্য একরকম দোলাচলের মতো কেটেছে। একদিকে, হ্যারি ব্রুক আর জেমি স্মিথের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ড ভারতের ৫৮৭ রানের জবাবে খুব কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে, মোহাম্মদ সিরাজ যখন বল হাতে তাণ্ডব শুরু করলেন, তখন হঠাৎ করেই ম্যাচের ছবি বদলে গেল।
ইংল্যান্ড একসময় ছিল ৫ উইকেটে ৩৮৭ রান। ব্রুক তখন ১৫৮ রানে, আর স্মিথ অপরাজিত ১৮৪ রানে। কিন্তু ঠিক সেই সময় সিরাজ যেন একাই আক্রমণ চালিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামিয়ে দিলেন মাত্র ৪০৭ রানে। এই ইনিংসে তিনি তুলে নিলেন ৬টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
জসপ্রিত বুমরাহ না থাকায় সিরাজের এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া দেখে অনেকেই খুশি। শুভমন গিল থেকে শুরু করে গৌতম গম্ভীর, সবাই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে। এমনকি সচিন তেন্ডুলকারও টুইট করে বলেছেন, “সিরাজের মধ্যে যে সবচেয়ে বড় উন্নতি দেখছি, তা হলো তার বল ফেলার জায়গায় নিখুঁততা ও ধারাবাহিকতা। তার পরিশ্রমেরই ফল এই ৬ উইকেট।” পাশাপাশি তিনি আকাশ দীপের ভূমিকাও আলাদা করে উল্লেখ করেছেন।
সচিন আরও একবার ব্রুক আর স্মিথের ৩০৩ রানের পার্টনারশিপের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, “ওদের এই জুটি সত্যিই বিশেষ কিছু। চাপের মুখে থেকেও দারুণ পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে, যা ইংল্যান্ডকে এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল, যেটা কেউ ভাবেওনি।”
দিনের শুরুটা অবশ্য ইংল্যান্ডের জন্য ছিল ভীষণই হতাশাজনক মাত্র ৮৪ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। তখন মনে হচ্ছিল ভারত হয়তো ফলোঅন চাপিয়ে দেবে। কিন্তু ব্রুক-স্মিথ জুটি খেলা ফিরিয়ে এনেছিল। শেষমেশ সিরাজের সৌজন্যে ইংলিশ ইনিংস থামল ৪০৭ রানে।
প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানের লিডের পর, ভারত দিন শেষ করল ১ উইকেটে ৬৪ রান নিয়ে। এখন লিড দাঁড়িয়েছে ২৪৪ রানে। চতুর্থ দিনে ভারত চাইবে অন্তত আড়াই সেশন ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ৫০০-র কাছাকাছি লক্ষ্য দিতে। তবে সেটা আদৌ সম্ভব হবে কি না, এখন সেটাই দেখার।