ভারতের কাছে বিশাল ব্যবধানে হার, লর্ডস টেস্টে পেস সহায়ক উইকেট চায় ইংল্যান্ড; ফিরছেন আর্চার ও অ্যাটকিনসন

ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় ইংল্যান্ডকে একেবারে ভেঙে চুরে দিল ভারত। বর্মিংহামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ভারতের কাছে ৩৩৬ রানে হেরে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা এই হারটা যেন গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো লেগেছে তাদের। সিরিজ এখন ১-১ সমতায়, কিন্তু এই হার এতটাই কড়া ছিল যে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্টের হুঁশ ফিরে গেছে। লর্ডসে ১০ জুলাই শুরু হতে চলা তৃতীয় টেস্টে, তারা এখন একেবারে আলাদা এক উইকেট চায় যেখানে পেসাররা জোরে বল ফেললেই মুভমেন্ট পাবে।


এদিকে দলে ফিরছেন জোফ্রা আর্চার, যাঁর টেস্ট দলে ফেরা প্রায় নিশ্চিত ধরা হচ্ছে। আর্চার দীর্ঘদিন কনুই ও পিঠের চোটে মাঠের বাইরে ছিলেন। শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এবার ফেরার জন্য তৈরি। তাঁর সঙ্গে ফিরছেন গাস অ্যাটকিনসনও, যিনি দ্বিতীয় টেস্ট মিস করেছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যার কারণে। দু’জনের ফেরা ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণকে আরও ধারালো করতে পারে অন্তত দলের প্রত্যাশা এমনই।

ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বিষয়টা আরও খোলসা করে দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, এবার চাই এমন পিচ, যেখানে বল ঘুরবে, লাফাবে আর সুইং করবে। এমসিসির প্রধান গ্রাউন্ডসম্যান কার্ল ম্যাকডারমটের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। এমনকি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রসঙ্গও টেনেছেন, যেখানে প্যাট কামিন্স আর কাগিসো রাবাডা বল হাতে দারুণ সুইং আদায় করে নিয়েছিলেন। ম্যাককালামের ভাষায়, “যদি উইকেট পেসারদের সহায়ক হয়, তাহলে ম্যাচটা দুর্দান্ত হতে চলেছে।”

তবে ব্যাপারটা এতদিন এমন ছিল না। ইংল্যান্ড গত কয়েক মাস ধরে নিজেদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং স্টাইলের জন্য বরং ফ্ল্যাট বা ব্যাটিং সহায়ক পিচ পছন্দ করছিল। যেমন, লিডসে বেশি বাউন্স ছিল সেখানে তারা জিতেছে পাঁচ উইকেটে। আর এজবাস্টনে উপমহাদেশীয় উইকেটের মতো চরিত্র থাকায় হেরেছে ধ্বংসাত্মকভাবে।

জোফ্রা আর্চার দ্বিতীয় টেস্টের আগে দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেছিলেন। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়, তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ম্যাককালামও জানিয়ে দিয়েছেন, “ও এখন একদম ফিট। স্কোয়াডে থাকবে। আমরা ওকে চাই।” অ্যাটকিনসনের ব্যাপারেও তাঁর মত, “ওকে নিয়েও আমরা আশাবাদী, তবে একটু নজর রাখতে হবে যেন আবার চোট না ফিরে আসে।”

সব মিলিয়ে, লর্ডসের টেস্টে ইংল্যান্ডের পরিকল্পনা পরিষ্কার পিচ থেকে পেসারদের সাহায্য আদায় করেই ম্যাচ ঘোরানোর চেষ্টা। তবে সেটা আদৌ সফল হবে কি না, সেটা তো মাঠেই দেখা যাবে।