Lords Test: জয়ের দোরগোড়ায় ভারত, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ওয়াশিংটন সুন্দর

লন্ডনের ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতের সামনে এখন কেবল ১৩৫ রানের পথ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় টেস্টে রবিবার দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে ফিরে এসেছে সেই চিরচেনা উত্তেজনা। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে ভারতের হাতে রয়েছে ছয়টি উইকেট, আর সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে রোহিত শর্মার দল। তবে শুধু সমর্থকরা নয়, দলের অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দরও বেশ নিশ্চিত, এই ম্যাচ ভারতই জিতবে। তাঁর মতে, “সম্ভবত প্রথম সেশনেই সব কিছু মিটে যাবে।”

এদিকে ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কিন্তু ততটা সহজভাবে নিচ্ছেন না বিষয়টা। তাঁর ধারণা, সোমবার সকালেই তাদের বোলাররা ভারতীয় ব্যাটিংকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। যদিও ওয়াশিংটন সুন্দরের কথায় ছিল এক ভিন্ন স্বর একটা হালকা হাসি আর ভরপুর বিশ্বাস। স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারত জিতবেই, সম্ভবত লাঞ্চের ঠিক পরেই। আমরা এখন খুব ভালো জায়গায় আছি। হতে পারে একটা উইকেট খরচ করেই ম্যাচ শেষ করব।”

লর্ডস টেস্টের শুরুটা হয়েছিল ইংল্যান্ডের টস জয় দিয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তারা তোলে ৩৮৭ রান। ভারতের জবাবও কম নয় ঠিক ৩৮৭ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। একেবারে পয়েন্ট টু পয়েন্ট সমতা। তবে আসল নাটক জমে ওঠে দ্বিতীয় ইনিংসে।

ওয়াশিংটন সুন্দরের অনবদ্য বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৯২ রানে গুটিয়ে দেয় ভারত। সুন্দর একাই তুলে নেন চারটি উইকেট। পাশে ছিলেন বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ, দুজনেই নেন দুটি করে উইকেট। পাশাপাশি আকাশ দীপ ও নীতীশ রেড্ডিও অবদান রাখেন একটি করে উইকেট নিয়ে।

১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা অবশ্য মোটেই ভালো হয়নি। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল শূন্য রানেই ফিরে যান। এরপর করুণ নায়ার (৬) এবং অধিনায়ক শুভমান গিলও (৬) দ্রুত ফিরে গেলে চাপ কিছুটা বাড়ে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা আকাশ দীপও বেশি সময় টিকতে পারেননি, আউট হন মাত্র ১ রানে।

তবে খারাপ শুরুর পরও ভারত এখনও জয়ের পথে। স্কোরবোর্ডে ৫৮ রান, হাতে ৬ উইকেট। সোমবার যদি ব্যাটাররা একটু ধৈর্য ধরে খেলেন, তাহলে এই ম্যাচ ভারতের ঘরে যেতেই পারে। তবুও, ক্রিকেট তো শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয় সেটাও ভুলে গেলে চলবে না।

সবচেয়ে বড় কথা, লর্ডসের মাটিতে জয় মানে শুধু একটা ম্যাচ জয় নয় এটা ঐতিহ্য ছোঁয়ার আনন্দ। আর ভারত সেটা কতটা উপলব্ধি করছে, তা বোঝা যাচ্ছে ওয়াশিংটন সুন্দরের আত্মবিশ্বাসী কথাতেই।